রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭

পাহাড়ে বাঙ্গালীদের চরম বিপর্জয়ের আশংকা


পার্বত্য বাঙ্গালীদের যে কোন মূল্যে ঐক্যবদ্ধ হতেই হবে। নচেৎ ভবিষ্যত সন্নিকটে পার্বত্য বাঙ্গালীর জন্য চরম বিপর্জয় অপেক্ষা করছে। কে আওয়ামীলীগ, কে বিএনপি আর কে জামায়াত সেটা যদি এখন চিন্তা করি তবে ভবিষ্যতে জাতিগত পরাজয় বহন করে নিষ্পেশিত হয়ে আপসোস করা ছাড়া আমাদের আর কিছুই থাকবে না। সাধারন পার্বত্য বাঙ্গালী নয় শুধু এমপি চিনুরা পর্যন্ত পাহাড়ে অসহায়। পার্বত্য বাঙ্গালীর লাশের মূল্য যেখানে রাষ্ট্রের বিবেকবান মানুষদের কাছে নেই সেখানে পাহাড়ের বাঙ্গালীর অসহায়ত্ব্য নিয়ে রাষ্ট্রের চিন্তা করার সময় কোথায়? জাতীয় রাজনৈতিক দলের সরকার হতে শুরু করে দেশের স্বল্প মেয়াদী তত্বাবধায়ক সরকার পর্যন্ত পার্বত্য বাঙ্গালীদের বিন্দুমাত্র মূল্যায়ন করেনি। বিগত ১/১১ এর সময় আমরা দেখেছি পার্বত্য জননন্দিত, জনপ্রিয় নেতা ওয়াদুদ ভূইয়ার করুন পরিনতি। বিগত বিএনপি সরকারের আমলে রাঙ্গামাটি আসনের সাংসদ মনি স্বপন দেওয়ান ছিলেন উপমন্ত্রী, ওয়াদুদ ভূইয়া ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান।

সেই সময় ওয়াদুদ ভূইয়ার মাধ্যমে পাহাড়ে উন্নয়নের একটি বৈপ্লবিক ছোয়া লেগেছিলো। উপমন্ত্রী হয়ে রাঙ্গামাটির সাংসদ রাঙ্গামাটির জন্য যা করেননি তার চেয়েও বেশি করেছিলেন খাগড়াছড়ির সাংসদ ওয়াদুদ ভূইয়া। যেটা এখনো রাঙ্গামাটির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সহ পাহাড়ের আনাচে কানাচে দেখা যায়। কিন্তু, কি হলো তার???? চরম অনিয়ম-বেনিয়ম করেও সেদিন মনি স্বপন দেওয়ানের কিছুই হয়নি। বরংচ উন্নয়ন রুপকার ওয়াদুদ ভূইয়াকে কাড়া বরণ করতে হয়েছিলো!! আমাদের রাষ্ট্র যন্ত্র এমন যে, কোন উপজাতি যদি দূর্নীতি করে আকাশ চুম্বি সম্পদ তৈরী করে তাতে দোস নেই, দোস হলো "ওয়াদুদ ভূইয়া কেন বাড়ি বানালো?" "শন্তু লারমা পাহাড়ে ভোটার না-এমপি চিনু কেন এমন কথা বললো?"। অর্থাৎ পাহাড়ে কোন বাঙ্গালী নেতা এবং নেতৃ থাকুন এটাও আমাদের রাষ্ট্রের বিবেকবানরা চান না।

শন্তু লারমা যে খুনী তাতে কোন সন্দেহ নেই। শন্তু লারমা একজন রাষ্ট্রদ্রোহী, চাঁদাবাজ, সসস্ত্র সন্ত্রাসী -এটা প্রমানে তথ্য আলামতের কোন ঘাটতি নেই। শন্তু লারমা নিত্য পাহাড়ে অপকর্ম পরিচালনা করছে - গুম, খুন, চাঁদাবাজি করে পার্বত্য জনজীবন অস্থীর করে তুলেছেন -এখন তার বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না। পরিস্থিতি এমন হয়ে দাড়িয়েছে যে শন্তু লারমা পাহাড়ে যা ইচ্ছা তাই করবে -কিন্তু এর বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র প্রতিবাদ করা যাবে না।

অথচ কে এই শন্তু?? যে কিনা রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব্য গ্রহন না করেই রাষ্ট্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শণ করে যাচ্ছেন!! এখানে পাহাড়ের তার অপকর্মের কথা না হয় বাদই দিলাম। নাগরিক হওয়া কি আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ নয়? তাছাড়া পাহাড়ের সাংসদ সেই পরিচয় উহ্য করে একজন রাঙ্গামাটির নাগরিক হিসেবে যদি বিবেচনা করি তবে এমপি চিনু শন্তু লারমার নাগরিকত্ব্যের প্রশ্ন তুলে কি এমন অপরাধ করেছেন?

সুতরাং বর্তমান এমপি চিনু এবং অতীত ওয়াদুদ ভূইয়াদের দোস না থাকলেও তারা দোসী। কেননা, তারা যে পরিচয়ে পার্বত্য বাঙ্গালী। সুতরাং পরিস্থিতিটা এমন যে শন্তু লারমা নিত্য আমাদের খুন করবে কিন্তু আমরা তার প্রতিবাদ করতে পারবো না। রাষ্ট্রের বিবেক আমাদের শন্তুর হাতে নির্যাতিত হতেই পাহাড়ে পাঠিয়েছে। খুনী শন্তুর বিচার চাওয়া অপরাধ, খুনী শন্তুর হাতে মৃত্যু রাষ্ট্রের পুন্য।

পরিশেষে বলবো, পার্বত্য বাঙ্গালী শুধুই একা। এদের পাশে সেই রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের আইন, রাষ্ট্রের বিবেকবান মানুষ। সুতরাং যেহতু আমরা একা সেহতু আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের আত্মরক্ষা ছাড়া ভিন্ন কোন পথ খোলা নেই। রাষ্ট্রের আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি যে দলই বলুন না কেন পার্বত্য বাঙ্গালী সবার দৃষ্টিতে অপরাধী। কথিত বন্ধু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য বাঙ্গালীর পাছায় সর্ব প্রথম লাঠির বারিটি মারে। তাই নিজেদের অস্তিত্ব্য নিজেদেরই রক্ষা করতে হবে। আবারও বলছি,,, বর্তমান পরিস্থিতিতে পার্বত্য বাঙ্গালীর ঐক্যের কোন বিকল্প নাই।

লেখক: উবাইদা।


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]