শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৭

শান্তিচুক্তি নামের অসাংবিধানিক কালোচুক্তি বাতিল করতে হবে

পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের যৌথ উদ্যোগে পার্বত্য শান্তি চুক্তি (কালো চুক্তি) বাতিলের দাবিতে গত শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের নেতা সাহাদাত ফরাজি সাকিবের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক পরিষদের মহাসচিব এডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরী, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ইসমাইল নবী শাওন, নাগরিক পরিষদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক কবি ফাতেমা খাতুন রুনা, পিবিসিপির পেনেল সভাপতি ইব্রাহিম, সিনিয়র সহ সভাপতি সারোয়ার জাহান খান, সাধারণ সম্পাদক মো: সাহাদাত ফরাজি সাকিব প্রমুখ।

পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামন ভূঁইয়া বলেন, শান্তির জন্য করা চুক্তির কারণে অশান্তি আরো বেড়েছে,আগে চাঁদা দিতে হতো একটি সংগঠনকে এখন দিতে হয় তিনটি সংগঠনকে, অনির্বাচিত জেলা পরিষদ লুটপাটের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। তাই এটা ভেঙ্গে দিয়ে দ্রুত নির্বাচনের দাবী জানান তিনি। 

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হলে তথাকথিত শান্তি চুক্তি (১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তির নামে অসাংবিধানিক পার্বত্য কালো চুক্তি করা হয়েছে) বাতিল করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বৈষম্য মূলক উপজাতীয় কোটা বাতিল করে পার্বত্য কোটা চালু করতে হবে। আঞ্চলিক পরিষদসহ সকল জেলা পরিষদে শীঘ্রই নির্বাচন দিতে হবে। জাতীয় সংসদে সংশোধিত পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধনী) আইন-২০১৬ ইং বাতিল করতে হবে এবং সর্বক্ষেত্রে বাঙ্গালীদের সমঅধিকার বা সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যাহারকৃত সেনাক্যাম্প পুনঃস্থাপন করতে হবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের র‌্যাব এবং সেনাবাহিনী দিয়ে অভিযান চালিয়ে সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। সন্ত্রাসের গডফাদার জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তুলারমা গং কর্তৃক লালিত সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ভিতর পার্টির (জেএসএস, ইউপিডিএফ, জেএসএস সংস্কার) কর্তৃক চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। 

প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেরও প্রতিবাদ করে বলেন, যে বক্তব্য সন্তু লারমা ৩৬ বৎসর যাবত দিয়ে আসছেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যও সেই একই বক্তব্য হয়ে গেল। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর একজন নেতার দাবির সত্যায়ন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এ বক্তব্য মেনে নেয়া যায় না, এ বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান।মানববন্ধনে বক্তারা সন্তুলারমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে, সাম্প্রতিক সন্তুলারমা পার্বত্য জেলাকে অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে অচল করে দেওয়ার কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। 

প্রধান অতিথি আরোও বলেন, উদ্দেশ্যে ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারের প্রতিনিধি আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ ও জনসংহতি সমিতির সভাপতির স্বাক্ষরিত তথাকথিত শান্তি চুক্তির নামে আদালত কর্তৃক ঘোষিত অসাংবিধানিক কালোচুক্তি করা হয়েছিল তা এক পক্ষীয় ও সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। তিনি আরোও বলেন, সন্তুলারমা একজন রাষ্ট্রদ্রোহী, যুদ্ধাপরাধী, সন্ত্রাসী ও ত্রিশ হাজার নিরস্ত্র বাঙ্গালী হত্যার নির্দেশদাতা। তিনি অবিলম্বে সন্তুলারমাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবি করেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি।


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]